ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব? ভিডিও এডিটিং এর জন্য বেস্ট অ্যাপ এবং সফটওয়্যার কোনটি?আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা- বর্তমানে অনলাইনে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য আপনি নিশ্চয়ই ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব? এমন প্রশ্ন করে থাকেন। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য।
বর্তমান সময়ে অনলাইন মাধ্যমে অনেক অনেক কাজের মধ্যে ভিডিও এডিটিং অনেক বেশি অ্যাট্রাক্টিভ এবং ডিমান্ডেবল। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আর্টিকেলটি থেকে ভিডিও এডিটিং শেখা থেকে শুরু করে ইনকাম করা পর্যন্ত একটি ধারনা নেওয়া যাক।
ভিডিও এডিটিং কি?
ভিডিওতে টেক্সট অ্যাড করা, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থাম্বেল যোগ করা, হেডলাইন যোগ করা বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট ব্যবহার করা, এবং ভিডিওর ছোট ছোট ক্লিপ গুলো কেটে সেগুলো একসাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। এক কথায়- ভিডিও এডিটিং হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ ভিডিও ফাইল বা মুভি তৈরি করার উদ্দেশ্যে ছোট ছোট ভিডিওর অংশ, বিভিন্ন ফটো, সাউন্ড, টেক্সট ইত্যাদি এগুলোকে এডিট রিপ্লেস, ম্যানেজ বা সেগুলোকে একসঙ্গে যুক্ত করে একটি পরিপূর্ণ অর্থবোধক ভিডিও তৈরি করাটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। আরেকটু সহজভাবে বললে বলা যায়, ভিডিও এডিটিং হচ্ছে একটি প্রফেশনাল ভিডিও তৈরির একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া।
ভিডিও এডিটর কাকে বলে?
আমরা যারা অনলাইন সম্পর্কে টুকিটাকি জানি তারা প্রত্যেকে ভিডিও এডিটিং শব্দটির সাথে পরিচিত। কারণ youtube, facebook, instagram এ আমরা যে সকল ভিডিও দেখে থাকি এগুলো প্রত্যেকটাই ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর এই কাজগুলো যে বা যারা করে থাকে তাদেরকেই বলা হয় ভিডিও এডিটর। সুতরাং ভিডিও এডিটিং এর কাজ যারা করে থাকে তারা হলো ভিডিও এডিটর।
বর্তমানে যাদের ডিমান্ড অনেক বেশি এবং ভিডিও এডিটরদের জন্য দাঁড়িয়ে আছে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দিন যত যাচ্ছে ভিডিও এডিটরের কদর বাড়ছে। সময়ের সাথে সাথে এটি আরো বেশি জনপ্রিয় হবে। তাই বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে যে বা যারা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করছেন বা ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করছেন তারাই হচ্ছেন ভিডিও এডিটর।
ভিডিও এডিটিং শেখার উপায়
যারা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী তাদের জন্য সবচেয়ে কাছের বন্ধু youtube। আমাদের মধ্যে যারা অনেক বেশি আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন তারা মূলত ইউটিউবে সহযোগিতায় ভিডিও এডিটিং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন।
কারণ আমরা এটা প্রত্যেকে জানি, ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে এমন কোন বিষয় নেই যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শুরু থেকে শিখতে চান তাহলে এখনই ইউটিউবে প্রবেশ করুন এবং আপনি যা জানতে চান তা লিখে সার্চ করুন। সেই অনুযায়ী প্র্যাকটিস করুন ব্যাস আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর।
তবে এর বাইরেও ভিডিও এডিটিং শেখার উপায় হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং কোর্স। যেগুলো কিনে আপনি ঘরে বসে প্যাকটিস করতে পারেন, আবার বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়েও নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে তৈরি করতে পারেন। তবে আপনারা যারা অনেক বেশি এনালাইসিস প্রিয়, তাদের জন্য ভিডিও এডিটিং শেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে ইউটিউব।
ভিডিও এডিটিং করার জন্য সর্বপ্রথম কি করণীয়?
আপনি যদি ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে কি করতে হবে? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই মাথায় আসছে? তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করার জন্য সর্বপ্রথম কি করনীয় এটা জানতে চান তাহলে প্রথমে ভালো মানের ক্যামেরা ইউজ করে ভিডিও রেকর্ড করতে হবে।
আর আজকাল ভালো মানের ক্যামেরা বলতে ডিএসএলআর বা উন্নতমানের হাইডেফিনেশন ক্যামেরা সম্মানিত স্মার্টফোন ইউজ করাকে বোঝায়। এরপর পরবর্তীতে সেই ভিডিও কোন সফটওয়্যার বা মোবাইল অ্যাপসে ইমপোর্ট করে তার সাথে ভয়েস, প্রয়োজনীয় ট্যাক্স এবং মিউজিক এড করে সম্পূর্ণ একটি প্রফেশনাল ভিডিওতে পরিণত করাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর করণীয় উপায়।
ভিডিও এডিটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান তাহলে আপনার কাছে বেশ কয়েকটি জিনিস অবশ্যই থাকতে হবে। এক কথায় ভিডিও এডিট করার জন্য আপনার কাছে যা যা থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে:
- ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ
- একটি স্মার্ট ফোন
- ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার
- বিদ্যুৎ সংযোগ
কেন ভিডিও এডিটিং জরুরী? ভিডিও এডিটিং শেখার প্রয়োজনীয়তা কি?
দেখুন আপনি অনলাইন বলেন অথবা অফলাইন, দুইটি মাধ্যমিক কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজনীয়তা পড়ে। আপনি যদি একটু চিন্তা করেন তাহলে বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের ঠিক কেমন চাহিদা তা বুঝতে পারবেন। আর সবচাইতে বড় কথা বর্তমান সমাজ এবং সমাজে বসবাসরত মানুষগুলো প্রত্যেকেই অনলাইনের সাথে যুক্ত। এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা আজকালকার দিনে ঘরে বসে কোন ভিডিও দেখেন না।
দেখুন ফোনে ভিডিও দেখার কথা না হয় বাদ রাখলাম। আমরা যে অনেক পূর্বসমূহয় থেকে টেলিভিশনের ভিডিও গুলো দেখি সেই ভিডিওগুলো কিন্তু ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়। তাই আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন তাহলে আপনার ডিমান্ড ঠিক কেমন হবে তা, এমনিতেই বোঝা যাচ্ছে। আর তার চাইতে বড় কথা আপনি যদি একজন প্রফেশনাল এবং ইউনিক ভিডিও এডিটর হয়ে উঠতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে এমন অনেক কাজ করতে পারবেন তাও আবার হাই রেটে। কারণ কাজে আপনি যত নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারবেন আপনার কদর ততটাই বেড়ে যাবে।
আর এজন্য আপনাকে বুঝতে হবে মানুষ কি ধরনের ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। আর সত্যি বলতে একজন ভিডিও এডিটর খুব ভালো মতন জানেন মানুষ সেই সব ভিডিওতে অনেক বেশি আকৃষ্ট যেগুলো এডিটিং এর মান ভালো। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে কোন ভিডিওকে অনেক বেশি আট্রাক্টিভ করে তুলতে পারেন, মানুষের মাঝে বোরিং না এনে একটা অস্থির অস্থির মনোভাবের সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে আপনার সেই ভিডিওটি অনেক মানুষ দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
এক কথায় ভিডিওগুলো তাদের কাছে ভালো মনে হবে। আর আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখে নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অনলাইনে এমন অনেক কাজের অফার পাবেন সেই সাথে নিজের সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং কিভাবে করব?
দেখুন ভিডিও এডিটিং এর বেশ কিছু পেইড সফটওয়্যার আছে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। শুধু পেইড নয়, পেইড সফটওয়্যার এর পাশাপাশি কিছু ফ্রি সফটওয়্যার আছে যেগুলো ইউজ করে আপনি অনেক ভালোভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। আর সফটওয়্যার নয় শুধু, এমন অনেক এন্ড্রয়েড অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে ভিডিও এডিট করা পসিবল। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে কাইনমাস্টার।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার কোনটি?
ইতোমধ্যে আমরা ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে বেশ কিছু আলোচনা করেছি। এ পর্যায়ে আমরা জানব, কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করা যাবে? তাহলে চলুন ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যাক।
- Flimora
- Adobe Premier Pro
- Final Cut Pro
- After Effects
- Blender,
- Shotcut
- OpenShot
- Camtasia
- Vegas Pro
মূলত এই প্রত্যেকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং এর কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব। আপনারা যারা নতুন তারা যদি ভিডিও এডিটিং এর এই সফটওয়্যার গুলোর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আপনি নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার free download
এখন কথা হচ্ছে, ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করবেন কিভাবে? কারণ ইতোমধ্যে আমরা একবার জেনেছি কিছু সফটওয়্যার পেইড এবং কিছু ফ্রিতে পাওয়া যায়। আসলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ফ্রি ডাউনলোড করার কোন এক্সট্রা উপায় নেই। যেগুলো পেইড সেগুলো আপনাকে টাকা পেমেন্ট করার মাধ্যমে কিনতে হবে। আর যেগুলো ফ্রি সেগুলো আপনি খুব সহজেই ফ্রিতে ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন। ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে ফ্রি সফটওয়্যার গুলো হচ্ছে:
- Flimora
- Adobe Premier Pro
- Final Cut Pro
- After Effects
আর এর বাইরে বাকি সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি যদি ভিডিও এডিট করতে চান, তাহলে অবশ্যই পেইড সফটওয়্যার গুলো কিনে তারপর ইউজ করতে পারবেন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা কয়েকটি অ্যাপস সম্পর্কে।
ভিডিও এডিট করার সেরা কয়েকটি অ্যাপ্স/মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ভিডিও এডিট!
এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেও আপনি ভিডিও এডিট করতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র আপনাকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার অ্যাপসগুলো ডাউনলোড করতে হবে। আপনি যদি নিজের ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে সিরিয়াস হয়ে থাকেন অথবা ভিডিও এডিটিং সার্ভিসিং প্রদান করতে চান, তাহলে সল্প খরচেও আপনার ভিডিও এডিট করা সম্ভব। কারণ যাদের ল্যাপটপ নেই তারা অনেকেই এটা মনে করেন, ভিডিও এডিটিং করা বেশ মুশকিল। কিন্তু আপনি যদি নিজেকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে তুলে ধরতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু এন্ড্রয়েড অ্যাপস সহযোগিতা করবে। বাছাই করা এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা সাতটি মোবাইল অ্যাপস গুলো হচ্ছে:
- FilmoraGo – Free Video Editor
- Magisto – editor & slideshow maker
- Kinemaster – Pro
- Quik video editor
- VivaVideo – editor and photo movie
- PowerDirector
- Adobe Premiere Clip
ভিডিও এডিটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে?
ভিডিও এডিটিং শিখতে একজেক্টলি কতদিন সময় লাগবে? এটা বলা সম্ভব নয়। কারণ আপনি যত বেশি হার্ডওয়ার্ক করবেন তত তাড়াতাড়ি সফল হবেন। ভিডিও এডিটিং শিখতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। তবে আপনি যদি এইসব বিষয় খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার মতো বুদ্ধি রাখেন তাহলে এক মাসের কম সময়েও আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তবে ভিডিও এডিটিং শিখতে মাস্টার হিসেবে ফলো করুন ইউটিউব। সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে সাবমিট করা পোস্টগুলো এক এক করে পড়ে ফেলুন। আশা করি আমাদের দেওয়া টিপস গুলো ফলো করলে খুব সহজেই আপনি একজন ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে ফেলতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং কোর্স/প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং কোর্স এর মাধ্যমে ভিডিও এডিট করা শিখতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পাঠশালা হবেসাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট ‘Basic Video Editing’ কোর্স পরিচালনা করে থাকে। কোর্সের ভর্তি ফী ৳১৫,৫০০। বৃহস্পতি ও শনিবারে ক্লাস করানো হয়। কোর্সে ভিডিও এডিটিংয়ের তাত্ত্বিক দিক থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিংয়ের সফটওয়্যার (‘Final Cut Pro’ ও ‘Adobe Premiere Pro’) পরিচালনা শেখানো হয়।
এছাড়াও রয়েছে
- দ্য ক্রিয়েটিভ বিডি
- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (BIJEM)
- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (DIPTI)
কিন্তু কোর্সের বাইরে আপনাকে ভিডিও এডিটিং শিখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো।
ভিডিও এডিটিং এর জন্য কম্পিউটার
এবার আর্টিকেলের শেষ মুহূর্তে আমরা জানবো আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান এবং এই নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে আপনার কাছে কেমন মানের কম্পিউটার থাকতে হবে? আসলে এটা আমরা সবাই জানি ভালো কম্পিউটার মানে, হার্ডডিস্ক, রাম, প্রসেসর সব বেশি বেশি হতে হবে। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে একটি হাই বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। কারণ আপনি যদি একটি প্রফেশনাল মানের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে তার স্বাস্থ্য একটু ভালো থাকতে হবে।
ভালো একটি মাদারবোর্ড ভালো একটি প্রসেসর সাপোর্ট আপনি পেতে পারবেন যদি আপনার কম্পিউটারের কোয়ালিটি ভালো হয়। তাছাড়াও সাধারণ ভিডিও এডিটিং এর জন্য খুব বেশি হাই রেটের ল্যাপটপ এর প্রয়োজন নেই। আপনি মূলত সাধারণ ল্যাপটপগুলো ইউজ করেও ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি এনিমেশন ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপ এর কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে।
পরিশেষে: পাঠক বন্ধুরা আশা করি আমাদের আজকের এই আলোচনা পর্বের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন, কিভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন। আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খুব তাড়াতাড়ি আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনা পড়বে আপনাদের সাথে কথা হবে।