কপিরাইটিং কি – কিভাবে কপি রাইটিং করতে হয় | জেনে নিন কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য
কপিরাইটিং কি – কিভাবে কপি রাইটিং করতে হয় | জেনে নিন কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা– আপনারা যারা অনলাইন জগতে ইনকামের খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে কিছুটা জানেন তারা নিশ্চয়ই কপি রাইটিং এর নাম শুনে থাকবেন। কেননা বর্তমানে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো অনলাইন ইনকাম এর সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে কপিরাইটিং।
যে বা যারা অনলাইন সেক্টরে একদমই নতুন এবং অনলাইন থেকে আয় করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে তাদের জন্য ইনকামের অন্যতম একটা সোর্স হচ্ছে কপিরাইটিং। যে কাজটি খুব সহজে করা যায় এবং খুব সহজেই শিখে ওঠা যায়। তাহলে আসুন জেনে নেই এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত।
কপিরাইটিং কি?
কপিরাইটিং এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় ওয়েবপেজ, অ্যাড, প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়ালস ইত্যাদি বোঝানোর উদ্দেশ্যে। তবে স্বাভাবিকভাবে বেশিরভাগ মানুষ এটা মনে করেন যে, কপিরাইটিং হচ্ছে কোন একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল কপি করা। কিন্তু সত্যি বলতে বিষয়টা একদমই এরকম নয়। কপিরাইটিং হচ্ছে এক ধরনের কনটেন্ট, যে কনটেন্ট গুলো মূলত আকারে ছোট হয় এবং যেকোনো একটি বিষয় কভার করে। যেমন ধরুন:
- কোন প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন
- বিজ্ঞাপন স্ক্রিপ্ট বা
- কোন কোম্পানির প্রেজেন্টেশন।
সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায়, কপিরাইটিং হচ্ছে এমন একটি লেখা, যা কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে কিংবা কাউকে কোন কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য লেখা হয়ে থাকে। মানে একজন কপিরাইটের কাজ একটি পণ্য কিনতে একজন ক্রেতাকে উদ্বুদ্ধ করা।
দেখুন আপনি যদি একটু লক্ষ্য করেন তাহলে একটা বিষয় নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, আমরা যখন ফেসবুকের নিউজফিডে প্রায়ই বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি কিংবা শহরে রাস্তায় বিলবোর্ড ছাপানো নানা চটকদার কথায় মুখরিত বিজ্ঞাপন দেখি সেসবের সুন্দর সুন্দর বার্তা লেখা হয়।
যেটা আমাদেরকে ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা প্রেরণ করে এবং ওই পণ্যটি কেনার জন্য বা ব্যবহারের জন্য খুব বেশি আগ্রহী মনোভাব গড়ে তোলে। আর এমন ধরনের আকর্ষণীয় স্ক্রিপ্ট বা কোন সুন্দর ক্যাপশন ফুটিয়ে তোলাটাই হচ্ছে একজন কপিরাইটের কাজ।
কপিরাইটিং বলতে কি বুঝায়?
দেখুন ইতিমধ্যে আমরা আপনাদেরকে কপিরাইটিং কি এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। তবে কপির রাইটিং বলতে কী বোঝায় এটা আরেকটু ভিন্ন ভাবে বললে বলা যাবে, কপিরাইটিং হচ্ছে একটি লেখালেখির পেশা। আর এটাকে মার্কেটিং বা অ্যাডভার্টাইজিং এর উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে কপিরাইটিং।
সুতরাং মানুষকে কোন কিছু কড়িয়ে নেওয়ার মতো যে লেখা ব্র্যান্ড এর মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করার লক্ষ্যে লেখা হয় তাই হচ্ছে কপিরাইটিং। একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলে বোঝা যাবে যে, এই কাজটি মূলত কাউকে কোন কিছু ভুলিয়ে-ভালিয়ে সুষ্ঠুভাবে করে নেওয়ার মতো ব্যাপার।
তাহলে চলুন এ পর্যায়ে জেনে নেই কপিরাইটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত। তবে হ্যাঁ পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যদি কপিরাইটিং সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা এখনো পর্যন্ত না পেয়ে থাকেন তাহলে প্রথম প্যারাটি পুনরায় পড়ুন। কেননা পরবর্তী আলোচনাগুলো বোঝে ওঠার জন্য অবশ্যই আপনাকে কপি রাইটিং কি তা বুঝতে হবে।
কপিরাইটার কারা?
যে বা যারা ফেসবুক ইউটিউব কিংবা অন্যান্য ওয়েবসাইটের জন্য কপিরাইটিং করে থাকে তাদেরকে বলা হয় কপিরাইটার। যেমন ধরুন, যে কৃষিকাজ করে সে কৃষক, যে নৌকা চালায় সে মাঝি ঠিক একই ভাবে যে কপিরাইটিং এর কাজ করে সে হচ্ছে কপিরাইটার। যা বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম।
কপিরাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা, কে বা কারা কপিরাইটার দের ব্যবহার করে?
কপি রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। আর এটা আপনারা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন যদি অনলাইন আয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থেকে থাকে আপনার। তবে এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কে বা কারা কপিরাইটদের মূলত ব্যবহার করে থাকে। তাহলে আসুন জেনে নেই।
✓ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং ইনভেসমেন্ট ফার্ম গুলো কপিরাইটারদেরকে ব্যবহার করে থাকে।
✓ফুড ম্যানুফ্যাকচারাররা ব্যবহার করে থাকে কপিরাইটারদের।
✓ মেডিকেল সাপ্লাই এবং ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলো ব্যবহার করে থাকে
✓সাপ্লিমেন্ট কিংবা অন্যান্য কমপ্লিমেন্টারি হেলথ প্রোডাকশন প্রডিউসারেরা ব্যবহার করে থাকে।
✓সেলফ অথর এবং স্পিকার, সেই সাথে নন প্রফিড অরগানাইজেশনস সমূহ কপিরাইটারদের ব্যবহার করে
✓ লোকাল সার্ভিস প্রোভাইডার, যেমন ধরুন: হেয়ার সেলুন। সেই সাথে ফিটনেস, পার্সোনাল ইমপ্রোভমেন্ট টাইপের কোচ এও প্রয়োজন পড়ে বা ব্যবহার করা হয়ে থাকে কপি রাইটারদের।
কপিরাইটিং হিসেবে কি কি জব পাওয়া সম্ভব হয়?
আপনার নিশ্চয়ই এটা জানেন যে কপিরাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আর এটা জানার পর স্বাভাবিকভাবেই হয়তো আপনাদের এই প্রশ্নটা মাথায় এসেছে, আপনি যদি নিজেকে একজন কপিরাইটের হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে কপিরাইটিং এর কি কি জব আপনি পেতে পারেন? তাই আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কপিরাইটারদের কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে।
আসলে কপিরাইটারদের কাজের ক্ষেত্রের কোন নির্দিষ্ট গণ্ডি নেই। কেননা অনলাইনের বদলাতে বিভিন্ন জায়গায় কপির ডিমের চাকরি পাওয়া সম্ভব হয়। যা আমরা ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানিয়েছি। তবে উপরে উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলো ছাড়াও আপনি একজন কপিরাইটের হিসেবে আরো যে সকল জায়গায় জব পেতে পারেন সেগুলো হলো:
- ই কমার্স প্রতিষ্ঠান
- বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা
- ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
- বিভিন্ন অনলাইন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান।
কপিরাইটিং কেন করবেন? কপিরাইটিং এর ডিমান্ড কেমন?
কপিরাইটিং কেন করবেন এ প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে পেয়ে গেছেন। আর আপনি যদি একজন facebook youtube ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি এটা জানেন বা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে, কপিরাইটিং এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ইনকাম করা সম্ভব অনলাইন সেক্টর থেকে। সুতরাং আপনি মূলত কপিরাইটিং করবেন টাকা ইনকামের জন্য।
সেই সাথে এর ডিমান্ড অনেক বেশি আর সময়ের সাথে সাথে কপি রাইটারদের কদর আরো বাড়তে থাকবে। কেননা সময়ের সাথে সাথে কপি রাইটিং এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর এদের কাজের ক্ষেত্রগুলো অনেক বেশি প্রসারিত হচ্ছে। আর যেহেতু এটা বর্তমান সময়ের জন্য অন্যতম একটা পেশা তাই সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হতে মূলত কপিরাইটিং শিখবেন।
একজন কপিরাইটারের কাজ কি?
যে বা যারা কপি রাইটিং করে থাকে তাদেরকে কপিরাইটার বলে। আর কপিরাইটারদের কাজ বহুমুখী হয়ে থাকে। সেগুলো হলো:
- ক্যাটালগ লেখা
- বিজ্ঞাপন লেখা
- লেন্ডিং পেজ লেখা
- স্লোগান ও ট্যাগলাইন লেখা
- ইমেইল ক্যাম্পেইনের জন্য ইমেইল লেখা
- ব্রুসিউর লেখা
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা
- ভিডিও বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট লেখা।
এর বাইরে মূলত আরো অসংখ্য কাজ রয়েছে, যেগুলো কপি রাইটাররা করে থাকে।
কপিরাইটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
যেহেতু কপি রাইটিং একটি জব, তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে কপিরটিং করে মূলত কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। তাহলে আসুন কপিরাইটিং এর মাধ্যমে কেউ নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া যাক।
দেখুন বর্তমানে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অনেকেই কপিরাইটিং করে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। আর এটা যদি আপনি কিছুটা রিসার্চ করেন তাহলেই খুঁজে পেয়ে যাবেন। আর যে বা যারা কপিরাইটিং এর কাজ করছে তারা এভারেজ মাসে ইনকাম করছে ৩৫ হাজার টাকা।
শুধু তাই নয় কেউ আবার মাসে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে আবার কেউ প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর এগুলো মূলত নির্ভর করছে আপনি কেমন কাজ করেন, কেমন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করেন এবং তাদের সাথে কাজ করছেন।
কপিরাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার উপায়
কপিরাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব, মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কপিরাইটারদের প্রয়োজন পড়ে এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিন্তু কপিরাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার উপায় কি? অনেকেরই প্রশ্ন এটা।
তাদেরকে বলব আপনি যদি কপিরাইটিং এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আমাদের উল্লেখিত নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন। অর্থাৎ আপনি মূলত আমাদের দেওয়া এই কয়েকটি মাধ্যমকে কেন্দ্র করে কপিরাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
- প্রচুর রিসার্স করে
- অধিক পরিমাণ পড়ে এবং নতুনত্ব বিষয় আয়ত্ত করার মাধ্যমে
- লেখালেখি করে সে সাথে ক্রেতার মনোভাব বোঝার মাধ্যমে
- নিজের একটা পোর্টফলিও তৈরি করে
কেননা আপনি যখন রিচার্স করবেন তখন সে বিষয় সম্পর্কে আপনি মূল বিষয়বস্তু আয়ত্ত করতে পারবেন এবং তার সুফল ও কুফল গুলো খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবেন। বা কোন কিছু সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে তার সাথে এমন কিছু যোগ করে আকর্ষণীয় বক্তব্য ফুটিয়ে তুলতে পারবেন যেটা খুব সহজেই ক্রেতার মনকে আকৃষ্ট করবে। আর আপনি যদি নিজের ভালো কাজ দিয়ে একটা পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন তাহলে প্রচুর কাজের অর্ডার পাবেন আপনি। আর পরবর্তীতে কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।
কপিরাইটার হতে গেলে কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন?
একজন প্রফেশনাল কপিরাইটের হতে গেলে অবশ্যই জগতের স্বরূপ কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। সেগুলো হলো:
- ইংরেজি
- অ্যাডভার্টাইজিং
- মার্কেটিং
- জার্নালিজ বিষয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রী।
এর পাশাপাশি সেই ব্যক্তির মধ্যে থাকতে হবে সত্যি এবং রিসার্চ করার মন মানসিকতা। স্কিল আপনার মাঝে থাকলে আপনি নিজেকে একজন প্রফেশনাল কপি রাইটার হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন।
কনটেন্ট ও কপিরাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আমরা প্রায় প্রত্যেকের কন্টেন্ট রাইটিং আর কপিরাইটিং এই দুইটি বিষয়কে এক ভেবে বসি। আসলে এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে জোকস সদস্য রয়েছে ঠিক কিন্তু কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তাহলে আসুন এ পর্যায়ে জেনে নেই কনটেন্ট আর কপিরাইটিং এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে।
- কপিরাইটিং সাধারণত খুব বেশি দীর্ঘ হয় না অর্থাৎ আকারে ছোট হয়। অপরদিকে কনটেন্ট রাইটিং এর লেন্থ দীর্ঘ হয় অর্থাৎ কনটেন্ট দীর্ঘ ফরম্যাটে লেখা হয়ে থাকে।
- কঁপারেটিং এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করা। অপরদিকে কনটেন্ট রাইটারদের কাজ হচ্ছে কোন তথ্য দেওয়া কোন কিছু শেখানো কিংবা বিনোদন দেওয়া। এক কথায় মানুষকে সে বিষয়টির ওপর সম্পূর্ণভাবে জানানো।
- কপিরাইটিং বিজ্ঞাপন স্লোগান ল্যান্ডিং পেজ লেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে কনটেন্ট রাইটিং সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফিচার আর্টিকেল ব্লগ ইমেইল নিউজ লেটার রিপোর্ট এর ক্ষেত্রে লেখা হয়ে থাকে।
- কপিরাইটিং এর কার্যকারিতা স্বল্প মেয়াদে মাপা হয় অপরদিকে কনটেন্ট রাইটিং এর কার্যকারিতা দীর্ঘমেয়াদে মাপা হয়ে থাকে।
কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে প্রসারণ কপিরাইটিং এর ভবিষ্যৎ
বর্তমান সময়ে কপিরাইটিং অনলাইন মার্কেটে বিশাল একটি জায়গা দখল করে আছে। এমনও অনেক স্লোগান রয়েছে যে ভালো মানের কপিরাইটের ছাড়া আমাদের কোন বিজনেস চলতে পারে না। তাহলে বুঝতেই পারছেন কপিরাইটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন। আসলে কপিরাইটিংকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটা স্ট্যান্ডার্ড মর্ডান মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বলা হয়ে থাকে।
আর ডিজিটাল মর্ডান এবং তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ প্রতিনিয়ত অনেক রকম মার্কেটিং রিলেটেড বিজ্ঞাপন তাদের ফোনে পাচ্ছে ফলে সময় যত যাচ্ছে কপিরাইটাদের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে। তবে হ্যাঁ আপনারা যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আধুনিক বিজনেসের ক্ষেত্রে কপিরাইটিং এর গুরুত্ব কতটুকু। তাহলে আসনে পর্যায়ে সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
- ডিজিটাল জগতে ৯০% এর অধিক অর্গানাইজেসন অনলাইন কনটেন্ট মার্কেট ব্যবহার করে থাকে। আর এই কনটেন্ট এর জন্য কপিরাইটারদের প্রয়োজন হয়।
- ৫৬ শতাংশের অধিক মার্কিন কোম্পানিগুলো তাদের পোটেনশিয়াল কাস্টমারদের নিকট সাধারণ মেইল পাঠাতে কপিরাইটারদের সাহায্য নাই।
- ৬৭% এর অধিক বিজনেস অনার রাত তাদের অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েট করার জন্য কপিরাইটারদের শরণাপন্ন হয়।
আর এমন বেশ কিছু জরিপ রয়েছে আর সেগুলোর উপর ভিত্তি করে ধারণা করা যায় কপিরাইটিং ঠিক কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে কপিরাইটিং কে নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সত্যিই এটা একটা বড় সুযোগ।
পরিশেষে: তো পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা কপিরাইটিং কি এবং এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আমাদের এই আর্টিকেল থেকে পেয়ে গেছেন। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।