ডাটা এন্ট্রি কি | ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আয় করার উপায়
ডাটা এন্ট্রি কি | ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আয় করার উপায়: আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানবো-ডাটা এন্ট্রি কি, কত প্রকার এবং কিভাবে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।
দেখুন সোশ্যাল মিডিয়া আর প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা প্রায় সবাই “ডাটা এন্ট্রি” শব্দটির সাথে অনেকটাই পরিচিত। বিশেষ করে যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কথা ভাবছেন তারা প্রায় প্রত্যেকেই ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে কিছুটা জানেন অথবা নাম শুনে থাকবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি বলতে আসলে কি বোঝায় আর ডাটা এন্ট্রির চাকরি করতে কি কি প্রয়োজন হয় আর কিভাবে করতে হয়। আজকের আলোচনাতে থাকছে:
- ডাটা এন্ট্রি কি
- ডাটা এন্ট্রি বলতে কী বোঝায়
- ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার
- কিভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করা যায়
- ডাটা এন্ট্রির কাজ কি
- ডাটা এন্ট্রি করতে কি কি প্রয়োজন পড়ে
- ডাটা এন্ট্রির যোগ্যতা কতটুকু
- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কি
- ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি
- ডাটা এন্ট্রির চাকরি কি এবং স্যালারি কত
- ডাটা এন্ট্রি চাকরি করে আয়
- ডাটা এন্ট্রি জব করে আয় করার উপায়
- ডাটা এন্ট্রি জব সোর্স
- ডাটা এন্ট্রি শেখার সময়সীমা
- উপসংহার
ডাটা এন্ট্রি কি?
ডাটা এন্ট্রি হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য প্রতিলিপি করার প্রক্রিয়া। এটি এমন একটা কাজ যেখানে ইলেকট্রনিক ডেটা একত্র করা হয়, যাচাই-বাছাই করা হয় এবং পরবর্তীতে সম্পাদন করা হয়। মূলত ডাটা যোগ করা, বিভিন্ন পরিসংখ্যান যোগ করা থেকে কোন নোট বা রেকর্ডিং থেকে ডাটা প্রতিলিপি করা ডাটা এন্ট্রির কাজ।
সুতরাং টাইপিং এর মাধ্যমে যে কোন হার্ড কপি থেকে ডাটা গুলোকে সফট কপিতে কনভার্ট করা এবং সেগুলোকে তাদের যথাযথ স্থানে সংগ্রহ বা জমা করা কি ডাটা এন্ট্রি বলে। আর ডাটা গুলোকে মূলত একটি কম্পিউটারের সাহায্যে কিছু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একত্রে যোগ করা হয় এবং আপডেট করা হয়।
ডাটা এন্ট্রি বলতে কী বোঝায়?
যাটা এন্ট্রি বলতে মূলত যেকোনো ধরনের অবজেক্ট, ইনফরমেশন ফাইল অথবা মিডিয়া হতে পারে। সেটা হতে পারে অডিও, হতে পারে ইমেজ, হতে পারে ডকুমেন্ট আবার হতে পারে নাম্বার অথবা টেক্সট। ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে মূলত বিভিন্ন ধরনের ডাটা গুলোকে ফিজিক্যাল পেপার ডকুমেন্ট থেকে কম্পিউটারে টাইপ করে ডিজিটাল কপিতে রূপান্তর করাই হল ডাটা এন্ট্রি।
সহজ বাংলায় কম্পিউটারের বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস, যেমন স্ক্যানার, কিবোর্ড ডিস্ক এর সাহায্যে কোন একটি স্থান অথবা প্রোগ্রাম থেকে অন্য একটি প্রোগ্রামে তথ্য/ডাটার প্রতিলিপি করন।সেগুলো নিজের উল্লেখিত তথ্য গুলো হতে পারে
যথা:
- ✓পিডিএফ থেকে ওয়ার্ল্ড
- ✓ওয়ার্ল্ড থেকে পিডিএফ ফাইল
- ✓ হাতে লেখা কোন তথ্য কম্পিউটারের টাইপ করা
- ✓ কোন প্রোগ্রামের তথ্যকে ওয়ার্ড ফাইল এবং স্প্রেডশিট ফাইলে জমা করা।
ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার?
বর্তমানের আধুনিক সময়ে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকটি কাজ হাতে থাকা স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের সাহায্যে করা হয়। আর তাইতো আজকের সময় বিভিন্ন আলাদা আলাদা কাজের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ধরনের ডাটা গুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে এন্ট্রি করা হচ্ছে। তাই ডাটা এন্ট্রির নির্দিষ্ট কোন প্রকারভেদ নেই। এটি মূলত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন ধরুন:
- MS-excel data entry
- Spelling checking
- Paper documentation
- Job posting
- Translation
- Data conversation
- Database creation
কিভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করা যায়?
ইতিমধ্যে আমরা ডাটা এন্ট্রি কি এবং ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছি। আলোচনার এই পর্যায়ে জানবো ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি কিভাবে শুরু করতে পারবেন। সত্যি বলতে ডাটা এন্ট্রির কাজ যে কেউ করতে পারবেন। আর এর জন্য লাগবে বেসিক কম্পিউটার ধারণা। সেই সাথে লাগবে কীবোর্ড টাইপিং দক্ষতা।
সত্যি বলতে ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য কোন প্রকার ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে শুধু যাচাই-বাছাই করা হবে আপনি কেমন টাইপিং করতে পারছেন এবং কম্পিউটার সম্পর্কে আপনার বেসিক কতটুকু নলেজ আছে। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করতে পারবেন আপনি। সত্যি বলতে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করার জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে অনলাইনে। তবে হ্যাঁ ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আপনার হাতে দুইটি মাধ্যম রয়েছে।
“একটি হচ্ছে অনলাইন ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক, অপরটি হচ্ছে অফলাইন ডাটা এনটিওয়ার্ক।”
অনলাইন ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে যে ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন সেটাই হচ্ছে অনলাইন ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক। কেননা ইন্টারনেটে এমন অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যেখানে আপনি ডাটা এন্ট্রির সাথে জড়িত কাজগুলো করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বেশ কিছু সুবিধা ও পেয়ে থাকবেন। যেমন ধরুন:
- আপনি কখন কি অবস্থায় কাজ করছেন সেটা আপনি নিজেই নিশ্চিত করতে পারবেন, এতে কেউ আপনার উপর খবরদারি করতে পারবে না।
- রিমোট ওয়ার্কার হিসেবে আপনি আপনার খেয়াল খুশি মত যে কোন জায়গায় থেকে নিজের কমফোর্ট যোনে থেকে কাজ করতে পারবেন।
- আপনি কখনো কখনো একটি কোম্পানিতে ফুলটাইম কর্মী হিসেবে কাজ করার বাইরে নিজের অতিরিক্ত সময়ে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজও করতে পারবেন।
- আর যেহেতু এই কাজগুলো এক একটা প্রজেক্ট কমপ্লিট এর মাধ্যমে ডিএল করা হয় তাই আপনি প্রত্যেকটি প্রজেক্ট শেষ করার পরে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অফলাইন ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্ক
ঠিক একইভাবে অফলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করলে আপনি অর্গানাইজেশন, কোম্পানি অথবা বিভিন্ন ফার্ম এর সাথে নিযুক্ত হতে পারবেন। আর সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে অনলাইনের তুলনায় অফলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ অনেক বেশি। তাই খুব সহজেই আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি মূলত অনলাইনের মত সেই সকল সুবিধা পাবেন না। অফলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য আপনার বেশ কিছু অসুবিধা দেখা দিবে সেগুলো হলো:
- এখানে আপনি ঘন্টা বা দিন হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
- আপনার খেয়াল খুশিমতো যখন-তখন কাজ করা সম্ভব হবে না
- সেই কোম্পানি বা অর্গানাইজেশনের কর্মী হওয়ার কারণে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন অফিসে অবস্থান করতে হবে।
তবে অসুবিধার পাশাপাশি সুবিধা হিসেবে মূলত আপনি পেয়ে থাকবেন-
- অন্যান্য কর্মীদের মতো কোম্পানির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। যেমন: বোনাস, ওভারটাইম ইত্যাদি।
- সেই সাথে পারফরমেন্স, টাইপিং স্পিড ভালো থাকলে মাইনে বৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ডাটা এন্ট্রির চাকরি করার বাছাইকৃত সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে— ভিজিট করুন।
ডাটা এন্ট্রির কাজ কি?
ডাটা এন্ট্রিট একজন কর্মী হয়ে আপনি না হয় কাজ শুরু করবেন। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি জব বা চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে? ডাটা এন্ট্রির কাজ কি এ পর্যায়ে আমরা সেটাই জানবো। দেখুন ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ডাটা এন্ট্রি হল কোন তথ্য লিপিবদ্ধ করা বা সংরক্ষণ করা। তাই আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে যান তাহলে যা যা করতে হবে সেগুলো হচ্ছে:
- কাগজ থেকে কম্পিউটার ফাইলে ডাটা স্থানান্তর করা
- প্রয়োজনে ডকুমেন্ট স্ক্যান ও প্রিন্ট করা
- ডাটা এন্ট্রি ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত করা
- ডাটা এন্ট্রি ডকুমেন্টগুলোর ডাটা ইনপুট ও সংকলন করা
- ডাটা চেক করা এবং কোন ভুল থাকলে তা পুনরায় সংশোধন করা
- ডাটার গোপনীয়তা রক্ষা করা
- বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট প্রস্তুত করা সহ-প্রভৃতি।
ডাটা এন্ট্রি করতে কি কি প্রয়োজন পড়ে?
আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বেশ কিছু শরৎ জামের প্রয়োজন পড়বে। তাই এখন বলব ডাটা এন্ট্রি করতে আপনার মূলত কিসের প্রয়োজন পড়বে।
- প্রথমত: একটি ভালো মানের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ
- দ্বিতীয়তঃ ভালো মানের দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা
- তৃতীয়ত: কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন ও ধৈর্য/অধ্যবসায় এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
ডাটা এন্ট্রির যোগ্যতা কতটুকু?
ধরুন আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন, তাহলে আপনার যোগ্যতা হিসেবে কি কি থাকতে হবে বা ডাটা এন্ট্রির চাকরি করতে হলে আপনার কি কি জানতে হবে? এ বিষয়টা জেনে নেওয়াটা অধিক বেশি জরুরী। তাই এখন আমরা আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো ডাটা এন্ট্রির যোগ্যতা হিসেবে আপনার মধ্যে কি কি গুণাবলী বা কি কি দক্ষতা থাকতে হবে সেগুলো। সুতরাং ডাটা এন্ট্রি জব করতে আপনাকে জানতে হবে:
- দ্রুত টাইপিং
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
- মাইক্রোসফট এক্সেল
- মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট
- ইংরেজি ভাষা
- তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে স্বচ্ছ ও বেসিক ধারণা
- ওয়েবসাইট, ব্লক সাইট সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে
- ধৈর্য ধারণ করার সক্ষমতা
- কাজের নীতিতে সততা ও নিষ্ঠা
ব্যাস, তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন অথবা অফলাইন যে কোন একটি মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির যবে সুযোগ পেয়ে যাবেন।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কি
যে বা যারা অনলাইন অথবা অফলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে থাকে তারাই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। অর্থাৎ যারা ঘরে বসে বা অফিসে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করে কোন ফিজিক্যাল ডাটা গুলোকে ডিজিটালি এন্ট্রি করে তারাই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি?
ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাজ হলো ইলেকট্রনিক ডেটা যোগ যাচাই ও সম্পাদন করা। যে বা যারা ডাটা এন্ট্রি করেন তাদের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ডাটা প্রসেসর, ডাটা প্রসেসর, ওয়ার্ড প্রসেসর, স্টেপিস্ট ট্রান্সক্রিবার এবং কোডার সহ প্রভৃতি। তবে হ্যাঁ আরেকটা বিষয় অফলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজকে মূলত ডাটা এন্ট্রি কেয়ার বলা হয়। সেগুলো হলো:
- ক্যাটালগ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
- পেরোল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
- ওয়েব বেইজ সিস্টেমে ডাটা এন্ট্রি
ডাটা এন্ট্রির চাকরি কি এবং স্যালারি কত
ডাটা এন্ট্রি চাকরিতে মূলত হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয় না। সত্যি বলতে ডাটা এন্ট্রির কাজে পারিশ্রমিক টা অনেকটাই কম। বাংলাদেশের মতো বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য প্রতি ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় কখনো কখনো ৫০ টাকাও হতে পারে। ঠিক একইভাবে কখনো কখনো দক্ষ লোকের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক ঘন্টায় ৪০০ টাকা পর্যন্তও হয়। সুতরাং ৩০ হাজার প্লাস পারিশ্রমিক পাওয়া যায় ডাটা এন্ট্রির চাকরি করে।
ডাটা এন্ট্রি চাকরি করে আয়
দেখুন ইতোমধ্যে আমরা ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে অনেকটাই জেনেছি। আর তাই এটা সুস্পষ্ট যে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করা সম্ভব। ডাটা এন্ট্রি জব করে আপনি মনে হতো কাজ করতে পারবেন দুটি উপায়ে সেটাও আমরাইতোমধ্যে জানিয়েছি। কেননা অনেকেই আছেন যারা অফিসিয়াল পরিবেশে কাজ করার চেয়ে নিজের বাড়িতে বসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আর তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা। আপনাকে যদি অফিসিয়াল কর্মী হিসেবে ডাটা এন্ট্রির চাকরি করতে কমফোর্টেবল ফিল করেন তাহলে এভাবেও ডাটা এন্ট্রি চাকরি করেও আয় করা সম্ভব।
ডাটা এন্ট্রি জব করে আয় করার উপায়
এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে ডাটা এন্ট্রি জব করে আয় করার বেশ কয়েকটি উপায় সাজেস্ট করব। সুতরাং আপনি মূলত এই কয়েকটি উপায় বা এ কয়েকটি ধারণা নিজের মধ্যে রাখতে পারলে ডাটা এন্ট্রি এর চাকরি করার সুযোগ পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সেগুলো:
- সাধারণ ডাটা এন্ট্রি জব
- ওয়ার্ড প্রসেসিং
- বেসিক টাইপিং
- ডাটা ক্লিয়ার
- অনলাইন ফর্ম পূরণ
- অনলাইন ডাটা ক্যাপচারিং
- অনলাইন সার্ভে পূরণ
- ইমেইল প্রসেসিং
- ডাটাবেজ আপডেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি।
পরিশেষে: যেহেতু ডাটা এন্ট্রির চাকরি পাওয়া খুবই সহজ এবং রয়েছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা তাই আপনি চাইলেই আপনার পার্টটাইম অথবা। এই চাকরিতে অনেক বেশি সুবিধা লাভ করতে চাইলে এবং প্রফেশনালি কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নানা রকমের স্ক্যাম থেকে সাবধান থাকতে হবে। তো পাঠক বন্ধুরা আজকের আলোচনায় পর্যন্তই। আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরো দেখুন:
- চেক লেখার নিয়ম এবং নির্ভুলভাবে সঠিক প্রক্রিয়া ব্যাংকের চেক লিখুন
- পার্সোনাল ব্লগ কি | পার্সোনাল ব্লগের মাধ্যমে উপার্জন করার উপায়
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কি | কিভাবে শুরু করবেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
- কপিরাইটিং কি – কিভাবে কপি রাইটিং করতে হয় | জেনে নিন কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য
- নিশ কি – নিশ কত প্রকার ও কি কি | তাড়াতাড়ি ইনকাম করার জন্য ১১টি জনপ্রিয় ব্লগ কন্টেন্ট আইডিয়া