ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আর কত দিন বাকি ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে মাত্র এক মাস বাকি, চারিদিকে পড়েছে হইহুল্লোড় চলছে নানা রকম প্রস্তুতি। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতারে ভ্রমণ করবে লাখ লাখ সাপোর্টার। আর এ বিষয়টা মাথায় রেখে কাতার বিমান কর্তৃপক্ষ অন্যান্য দেশের ফ্লাইট এর সংখ্যা কমিয়ে নিয়ে আসছে।
আর মজার ব্যাপার হচ্ছে– যারা শুধুমাত্র বিশ্বকাপে অংশ নেবে সে সব দেশের পর্যটকদের জন্য করা হয়েছে এই ব্যবস্থা আর বাড়ানো হয়েছে ফ্লাইট সংখ্যা। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পূর্ববর্তী কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে জানব। সে সাথে আরও জানব:
- ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ বাংলাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সময়সূচি
- সরাসরি ক্রিকেট খেলা দেখার সফটওয়্যার সমূহের নাম
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ বাংলাদেশ সময়সূচি
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখার উপায়
- কাতার বিশ্বকাপ বাংলাদেশ সময়সূচী ২০২২
তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আমাদের আজকের মূল আলোচনা পর্ব।
ফুটবল বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র এক মাস
কাতার ছাড়া যদি অন্য কোন দেশে বিশ্বকাপের আয়োজক করা হতো তাহলে, এতদিনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের নাম জানার প্রায় চার মাস পার হয়ে যেত। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই শুধু ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটলো।
কেননা মধ্যপ্রাচ্যের তীব্র গরম যেন বিশ্বকাপের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য পরিবর্তন আনা হলো সময়ের অর্থাৎ গ্রীষ্মের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শীতকালে ফুটবল বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট ২০২২। চোখের পলকে দেখতে দেখতে বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন পেরিয়ে সময় চলে গেল অনেকটা।
এখন হাতে মাত্র এক মাস মাসের ও কম সময় বাকি। ঠিক নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে যাবে এবারের দা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ফিফা বিশ্বকাপ। দোহার আল বাইক স্টেডিয়ামে সেদিন বেজে উঠবে কিক অফের বাঁশি। যা খেলোয়াড় এবং ফুটবল খেলা প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্বক একটি বিষয়।
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ টুর্নামেন্ট
মধ্যবাচ্য কথা আরব বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ ফুটবলের আসল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর সেই সৌভাগ্যবান দেশ হচ্ছে কাতার। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার মর্যাদা ছিনিয়ে আনতে তাদের সঙ্গী নানা বিতর্ক। বলতে পারেন দুর্নীতি করে সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার কাতারকে আয়োজক হওয়ার যোগ্যতা এনে দিয়েছিলেন।
সেই সাথে কাতারের বিরুদ্ধে বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সবচেয়ে বড় অভিযোগ এই দেশটিতে বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে কয়েক শতক শ্রমিক কে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এমনকি প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয়েছে তাদেরকে। শুধু তাই নয় বিদেশি শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি ন্যায্য মূল্য।
আর তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ এখনো চলছে ইউরোপের দেশগুলোতে। তবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহর প্রায় বড় বড় শহরগুলো ঘোষণা করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে তারা জায়ান্ট স্কিনে বিশ্বকাপের খেলা দেখাবে না।
কিন্তু সকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে সব বাধা সব বিপত্তি এবং নানা রকম চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এসে বিশ্বকাপের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে কাতার। এই দেশটিতে ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের খেলা, যা শুরু হবে ২০ শে নভেম্বর আর শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আরটানা এই একটি মাস সারা বিশ্ব বুদ হয়ে থাকবে বিশ্বের সেরা সেরা ফুটবলারদের সবুজ মাঠে পায়ের কারো কাছ দেখিয়ে।
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ
মাত্র এক মাসের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানে ভিডিও মেসেজ এর মাধ্যমে ফিফা সভাপতি জিয়াননি ইনফ্যান্তিনো বলেন– ‘আমরা সব সময়ই বলে এসেছি যে, কাতার ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আপনি যদি এখন দেশটির দিকে তাকান এবং স্টেডিয়ামগুলোর ডিজাইন, ট্রেনিং গ্রাউন্ড, বড় বড় স্থাপনা- সবকিছুই প্রস্তুত এবং সবাইকে সেখানে স্বাগতম।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুরো বিশ্বই আজ অভিভূত।
কাতারও পুরোপুরি প্রস্তুত বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য। মঞ্চও প্রস্তুত। আমরা সবাই মিলে মাঠ এবং মাঠের বাইরে ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপই উপহার দেবো।’ এরই মধ্যে বিশ্বকাপের জন্য প্রায় ২৮ লাখ ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতার কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে বিশ্বকা উপলক্ষে এত বিশাল পরিমান সমর্থক এবং পর্যটকের ভিড় সামাল দেয়ার জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, আরও ৩০ হাজার রুম বিশ্বকাপের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মোট ২৪টি ম্যাচ।
কাতার বলছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনো সমস্যাই হবে না থাকার জন্য। প্রতি রুম একদিনে ৮০ ডলার করে রুম বুক করা যাবে এবং এক রুমে অন্তত ২জন করে থাকা যাবে। তিনটি অপশন রাখা হচ্ছে- হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট এবং ফ্যান ভিলেজ। বিশ্বকাপের জন্য হসপিটালিটি টিকিট রাখা হয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার। এরমধ্যে সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে এবং ৬৩ ভাগই হচ্ছে বিদেশি।
মাত্র একমাস বাকি। টুর্নামেন্ট আয়োজক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, যারা কাতার ভ্রমণ করতে খেলা দেখার জন্য, তাদেরকে অবশ্যই হায়া কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে এবং এখনই রুম বুক করতে হবে। শুধু তাই নয়, আল বিদা পার্কে ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যালে একসঙ্গে ৪০ হাজার মানুষকে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করবে আয়োজকরা। বিশাল জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। খেলা দেখানোর সঙ্গে বিশ্বের সেরা সেরা আর্টিস্টদের দিয়ে বিনোদনের ব্যবস্থাও করা হবে।
তো সুপ্রিয় দর্শক, এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা নিয়ে আপনি কতটা উত্তেজিত এবং আপনার প্ল্যানিং কি তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দেবেন। সেই সাথে ফিফা বিশ্বকাপ লাইভ স্ট্রিমিং খেলা দেখতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি পড়ে ফেলবেন, এতে করে আপনি লাইভ স্ট্রিমিং খেলা দেখার সমস্ত ইনস্ট্রাকশন পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। তো আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।