মার্কেটিং কি – মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি | জেনে নিন মার্কেটিং এর এ-টু-জেড
মার্কেটিং কি – মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি | জেনে নিন মার্কেটিং এর এ-টু-জেড: মার্কেটিং হল কোন পণ্যের প্রাণ, যা বর্তমানে খুবই প্রচলিত ও জনপ্রিয় একটি নাম। শব্দটির সাথে আমরা সবাই অল্পবিস্তর পরিচিত। কিন্তু অনেকেই মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন না।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে মার্কেটিং কি, মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সেই সাথে মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা মার্কেটিং সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জানতে আগ্রহী তারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল পড়ুন।
আজকের আর্টিকেলে থাকছে:
- মার্কেটিং কি?
- মার্কেটিং কাকে বলে?
- মার্কেটিং এর জনক কে?
- মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
- মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা কি?
- মার্কেটিং এর ধারণা
- মার্কেটিং এর ধরন এবং আরো বিস্তারিত।
মার্কেটিং কি?
কোন পণ্য সেবা বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অডিয়েন্সদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় তাই হলো মার্কেটিং। ইংরেজিতে মার্কেটিং শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে বিপণন বা বাজারজাতকরণ। আর মার্কেটিং শব্দটিকে যদি আরো ক্লিয়ার ভাবে বোঝার উদ্দেশ্যে বলা যায়, নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা বা লাভ অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন কোম্পানি পণ্যদ্রব্য বা সেই কোম্পানির সেবা সামগ্রী উৎপাদন থেকে শুরু করে কাস্টমারের নিকট পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত যে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় তাই হলো মার্কেটিং।
আর বর্তমানে কর্পোরেট জগতে এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। কেননা এক একটি কোম্পানি তাদের মার্কেটিং পলিসি এপ্লাই করে প্রোডাক্ট সেল করছে। আরে এক্ষেত্রে এক একজনের আইডিয়া বা কৌশল একেক রকমের। ঠিক এই কারণে কোন কোন কোম্পানি অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত গ্রো করছে। ঠিক এই জন্য কর্পোরেট জগতের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে মার্কেটিং।
আর সময়ের সাথে সাথে এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পাবে। কেননা একজন সফল মার্কেটের হতে হলে অবশ্যই মার্কেটিং ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলে আসুন দ্বিতীয় ধাপে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেই মার্কেটিং কাকে বলে!
মার্কেটিং বলতে কী বোঝায়?
মার্কেটিং মূলত একটি পরিবর্তনশীল ও জটিল বিষয়। যেখানে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ও প্রয়োজনকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে এবং সে উদ্দেশ্যেই পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। গ্রাহক অর্থাৎ কাস্টমাররা যাতে কোন প্রোডাক্ট কেনে এবং সেই সাথে সন্তুষ্ট থাকে এই বিষয়টি মাথায় রেখে ক্রেতা সংখ্যা বৃদ্ধি করা মার্কেটিংয়ের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমরা আজকাল টিভি, নিউজ পেপার, সোস্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখতে পাই।
আর এদের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মার্কেটিং ঠিক ঠাক ভাবে করা। মানে নিজেদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে অন্যদের সামনে অর্থাৎ অডিয়েন্সদের সামনে সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা এবং তার বিনিময়ে নিজেদের প্রোডাক্টের মান বাড়ানো। এখন যদি মার্কেটিং এর সংজ্ঞা কি এটা বলেন তাহলে এক্ষেত্রে বলা যায়, মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য ব্যবসা, সার্ভিস, ব্যান্ডের প্রচার ও প্রসারের কাজে ব্যবহার করা একটি প্রক্রিয়া।
যেখানে একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য থাকে নিজেদের পণ্যগুলো অডিয়েন্সদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ক্রেতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। মূলত যেকোনো পণ্য জনসাধারণকে জানার উদ্দেশ্যে এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয় তাকে মার্কেটিং বলে। এটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং বিক্রয় ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আর বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান মার্কেটিং কৌশল ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে চলেছে। কেননা মার্কেটিং অনেক প্রকারের হয় তাই এ পর্যায়ে আমরা জানবো মার্কেটিং কত প্রকার এবং কি কি? সেই সাথে আলোচনা নেব মার্কেটিং এর প্রকারভেদ গুলোর আরো বিস্তারিত।
মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
বর্তমানে অনেক রকম মার্কেটিং পলিসি চালু হয়েছে তবে সাধারণত মার্কেটিং দুই প্রকার। যথা:
- ট্রেডিশনাল মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কে আপনি সহজ ভাবে গতানুগতিক মার্কেটিংও বলতে পারেন।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং
এই ধরনের মার্কেটিং তুলনামূলক সহজ ও সরল একটি প্রক্রিয়া। কেননা আপনি ট্রেডিশনাল এই শব্দটি শুনে স্বাভাবিকভাবেই বুঝে ফেলেছেন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আর আমরা প্রত্যেকে প্রায় কমবেশি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সম্পর্কে অবগত। এই গতানুগতিক অর্থাৎ ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজেই নিজের প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডকে প্রচার-প্রচারণা করা সম্ভব হয় এবং সেটা বিক্রি করাটাও অনেকটাই সহজ হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমান যুগে পৃথিবীর মানুষের হাতের মুঠ হয়ে চলে এসেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ইন্টারনেটের কারণে। কেননা এখন মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা ঘরে বসে ভোগ করছে। আর এক্ষেত্রে বিজনেস প্রক্রিয়াটাও অনেক বেশি সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান যুগে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার করা অ্যাড এ কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর সেবা সম্পর্কে অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরা এবং কেনাবেচা করাটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বা মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স পরিচালনা করা।
যত ধরনের অনলাইন মার্কেটিং আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং বা ক্যাম্পেইন করার জন্য যতগুলো গ্রন্থা অবলম্বন করি সবগুলো মিলেই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যদি আরেকটু ভিন্ন ভাবে বলা যায় তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বোঝায়, ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মাধ্যম ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিং কে।
আর হ্যাঁ ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন এবং অফলাইন উভয়েই হতে পারে। কেননা অনেকের ধারণা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মূলত অনলাইন মার্কেটিং কে বোঝায়। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং একটি মার্কেটিং পলিসি এবং এটার মাধ্যমে অনলাইন অফলাইন উভয় পর্যায়ে খুব ভালোভাবে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করার উপায় কি?
ইতোমধ্যে আমরা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অর্থাৎ গতানুগতিক মার্কেটিং সম্পর্কে জেনেছি। এবার এ পর্যায়ে জানব ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করার বাছাই করা কয়েকটি উপায়। মানে আপনি কোন কোন প্রক্রিয়ায় ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করতে পারবেন? বাট ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর ধরন গুলো কেমন? আসুন এ পর্যায়ে সেটাই জেনে নেই।
- টেলিভিশন বিজ্ঞাপন
- রেডিওতে বিজ্ঞাপন
- দেওয়াল পোস্টার
- বিল বোর্ড
- পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
- ব্যানার
- মাইকিং
- সিনেমা এড
- ক্যালেন্ডার অ্যাড
- ব্রুশিউর অ্যাড
- ফ্লায়ার অ্যাড
- ম্যাগাজিন অ্যাড সহ প্রভৃতি।
মূলত এই ধরনের বিজ্ঞাপন বা পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট অর্থাৎ সেবাসমূহ অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। এতে করে আপনার পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায় কি?
এবার আমরা জানব ডিজিটাল মার্কেটিং করার বাসায়কৃত কয়েকটি উপায়। অর্থাৎ আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনাকে কি কি করতে হবে? মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরন সমূহ হচ্ছে:
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ইমেইল মার্কেটিং
- এফিলেট মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ইনফ্লুএন্সার মার্কেটিং
- পেইড অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
- ওয়েব এনালাইটিকস।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
আমরা মূলত এ পর্যায়ে জানবো ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ সম্পর্কে। আপনি যদি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে চান এবং আপনার কোম্পানির পরিচিতি বৃদ্ধি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি যে সকল সুবিধা গুলো পেয়ে থাকবেন। সেগুলো হলো:
- পণ্যের প্রচার সহজেই করতে পারবেন
- প্রচুর মানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে
- সকল শ্রেণীর মানুষকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পূর্ণ সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন
- আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে পারবেন
- ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে দ্রুত পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ কি কি?
ঠিক একইভাবে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্যের প্রচার ও প্রচারণা চালান তাহলে সে ক্ষেত্রে যে যে সুযোগ সুবিধা আপনি পাবেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবেন অনলাইন মাধ্যমে।
- পণ্যের সেল খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারবেন
- বিশ্বব্যাপী আপনার পণ্যের প্রচার সম্ভব হবে
- মার্কেটিং খরচ এক্ষেত্রে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর চাইতে কম পড়বে
- আপনি খুব দ্রুত আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত ইনফরমেশন পৌঁছাতে পারবেন।
মার্কেটিং এর জনক কে?
প্রিয় পাঠক, আপনার নিশ্চয়ই কখনো না কখনো মার্কেটিং শব্দটির শোনার পর এটা মাথায় এসেছে, মার্কেটিং এর জনক কে কি তার নাম? এ সম্পর্কে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য এর উত্তরটি হচ্ছে মার্কেটিং এর জনক ড. ফিলিক কোটলার। যিনি বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কেটিং কে ভিন্নভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অর্থাৎ সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা কি?
ইতোমধ্যে আমরা মার্কেটিং কি, মার্কেটিং কত প্রকার, এমনকি মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। তবে এ পর্যায়ে জানবো মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। সত্যি বলতে ব্যবসা অর্থাৎ বিজনেসে সফলতা ও বৃদ্ধির জন্য মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এটি মূলত যে সকল কাজে প্রভাব বিস্তার করে সেগুলো হলো:
- সামাজিক চাহিদা পূরণ করে মার্কেটিং পলিসি
- উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে মার্কেটিং
- অন্যের সুসম বন্টন সম্ভব হয় মার্কেটিং এর মাধ্যমে
- ভোগের বৈচিত্র করণ প্রকাশ পায়
- মূল্য মানে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে
- ব্যবসায়িক ঝুঁকি হ্রাস পায়
- কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় মার্কেটিং এর মাধ্যমে
- শিল্প কলার উন্নয়ন ঘটে
- জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে
- মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নয়ন হয় অর্থাৎ গ্রাহকদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
- বাজার সৃষ্টি ও বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়
- ক্রেতা সন্তুষ্টি লাভ করে
- ব্যবসায়ের খ্যাতি ধরে রাখা সম্ভব হয়
- সেই সাথে কাস্টমারদের প্রোডাক্ট সেল করা নির্দিষ্ট সময়ে তা কাস্টমারের হাতে পৌঁছানো প্লাস ভালো রিভিউ এগুলো প্রোডাক্টের সেল বুস্টিং এ বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কোন মার্কেটিং এ প্রবেশ করবেন?
ইতোমধ্যে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আপনাদের মনে নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে এখন আপনার ক্ষেত্রে কোন মার্কেটিং সবথেকে বেশি উপযুক্ত হবে? সত্যি বলতে আমাদের মতে আপনার জন্য আদর্শ মাধ্যম হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। কেননা গতানুগতিক মার্কেটিং অর্থাৎ ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে।
আপনি যদি ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্যের মান বৃদ্ধি করতে চান অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরতে চান তাহলে এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। কেননা আপনি যে বিজ্ঞাপন গুলো দেওয়ার চেষ্টা করবেন সেগুলো কেউ শুধু শুধু আপনাকে করে দেবে না। মূলত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তবে হ্যাঁ যেহেতু ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব হয় তাই আপনি যদি ইনভেস্ট ও প্রফিট করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য আদর্শ মাধ্যম হতে পারে এটি।
কেননা আপনার কম্পানী যখন ভালো লভ্যাংশ রূপে পরিণত হবে তখন আপনি গতানুগতিক এড দিতে পারবেন। আর পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানিগুলো গতানুগতিক অ্যাড এর ওপর অধিক বেশি নির্ভরশীল। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আপনাকে নিতে হবে যে আপনার জন্য কোন মার্কেটিং পলিসি বেস্ট হবে। আপনার যদি ইনভেস্টমেন্ট ভালো থাকে তাহলে আমরা মনে করি আপনার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সেরা হবে আর যদি ইনভেস্টমেন্ট না করতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শ্রেয়।
বর্তমান সময়টা প্রযুক্তি নির্ভর। কথাতেই আছে আমাদের এই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এখন সবকিছু ডিজিটাল অর্থাৎ অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠছে। তবে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এবং মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের সেরা অবস্থান তৈরি করতে হলে আপনাকে সব রকম মার্কেটিং সম্পর্কে আইডিয়া রাখতে হবে।
কেননা কেউ যদি মার্কেটিং আইডিয়া জেনারেট করতে পারে এবং পণ্যের গুণগত মান ও সার্ভিস ঠিকঠাক রাখে তাহলে একদিন সে সফল মার্কেটার হয়ে উঠতে পারবে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার। তবে হ্যাঁ সবশেষে একটা কথা না বললেই নয়, মানুষ যেহেতু সবসময় নতুন কিছু পছন্দ করে তাই অবশ্যই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নতুনত্ব নিয়ে আসাটা খুবই জরুরী।
পরিশেষে: তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদেরকে মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে। তবুও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানান। আর যে কোন পোস্ট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আপনার ল্যাপটপ অথবা মোবাইলে বুকমার্ক করে রাখুন। আজ এ পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।