বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম (এ-টু-জেড)
বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মঃ আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব— বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনারা যারা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সময় নানা রকম সমস্যায় পড়েন তাদের সেই সমস্যার সমাধান নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল।
দেখুন আপনি নিশ্চয়ই এটা জেনে থাকবেন বর্তমানে বিকাশ হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা গুলোর মধ্যে একটি। আর এর নানা রকম ফিচার থাকার কারণে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছেন গ্রাহকরা। এমন অনেক টেলিকম দোকান রয়েছে যারা অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে আসছেন। আর এটা শুধুমাত্র সম্ভব হচ্ছে তাদের বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট থাকার কারণে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন এটা সম্পর্কে জানেন যে– বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না– কিভাবে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে বা কার কাছে যেতে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে– আপনি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা ফোনটি ব্যবহার করেই আবেদন করতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য। তাহলে আসুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার পদ্ধতি ও নিয়মাবলী সম্পর্কে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি?
বিকাশ এজেন্ট বলতে মূলত বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করাকে বলা হয়ে থাকে। বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট হচ্ছে, বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার একটি ফিচার। আমরা এর আগের আর্টিকেলে অর্থাৎ বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কিত আর্টিকেলে জেনেছিলাম, বিকাশে তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব। একটি হচ্ছে– বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট। আরেকটি হচ্ছে– বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। অপরটি– বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট। বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট মূলত গ্রাহকরা পার্সোনাল কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।
মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহৃত হয় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সেই সাথে এজেন্ট অ্যাকাউন্টও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি মার্চেন্ট একাউন্ট এর মত গ্রাহকদের সাথে শুধুমাত্র টাকা লেনদেনের জন্য নয়। বরং বিকাশ এজেন্ট হিসেবে একাউন্ট খুলে গ্রাহকদেরকে সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে। বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনি প্রাথমিক ধারণা পূর্ব থেকেই পেয়ে থাকবেন।
কেননা আমরা আমাদের প্রয়োজনে কখনো না কখনো বিকাশ এজেন্ট এর কাছে গিয়েছি। বিশেষ করে ক্যাশ আউট করার জন্য। আর এটা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে আপনার কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার যে– বিকাশ এজেন্ট আসলে কি বা এটি বলতে কী বোঝায়।
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা বলতে কী বোঝায়?
আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ভাবে জানতে চান তাহলে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আপনি হয়তো জানবেন আবার হয়তো নাও জানতে পারেন যে বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে অনেকেই ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
ছোটখাটো একটি দোকানে ব্যবসা করার পাশাপাশি মানুষ এজেন্ট একাউন্ট খুলে এখন স্বাবলম্বী। এটি এমন একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে বেশ ভালো অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। দেখুন আপনি যদি মার্কেটিং সম্পর্কে কিছুটা জেনে থাকেন তাহলে বিকাশ এজেন্ট মার্কেটিং টা আপনার মাথায় খুব ভালোভাবে ঢুকবে।
মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ যেমন ওয়েবসাইটে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোট করিয়ে বা সেল করে কমিশন হিসেবে তাদের পক্ষ থেকে টাকা গ্রহণ করে ঠিক একইভাবে বিকাশ এজেন্ট রা সাধারণ গ্রাহকদেরকে সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পেয়ে থাকে কমিশন। বিকাশ এজেন্ট মূলত বিকাশ ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলে দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলো করে থাকে আর এর বিনিময়ে পেয়ে থাকে কমিশন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি প্রয়োজন?
এখন কথা হচ্ছে আপনি না হয় বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলবেন। বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার সময় যেমন বেশ কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়েছিল, ঠিক একইভাবে কি ওই একই ডকুমেন্ট বিকাশ এজেন্ট হতে গেলে প্রয়োজন পড়বে? নাকি না? নাকি আরো বাড়তি কোন ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়বে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। তাই এখন জেনে নিন– বিকাশ এজেন্ট হতে গেলে আপনার কি কি প্রয়োজন পরবে।
- একটি দোকান অর্থাৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ট্রেড লাইসেন্স অর্থাৎ ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি
- টিন সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র। সর্বনিম্ন চার কপি ফটোকপি থাকতে হবে।
- নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করা প্রিপেইড সিমকার্ড।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার নিজস্ব দোকান থাকতে হবে। তবে হ্যাঁ সেটা আপনার নিজস্ব না হয়ে যদি ভাড়ায় হয় তাহলেও চলবে। এক কথায় আপনার একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা দোকান লাগবে। আর এটা যদি না থাকে তাহলে আপনি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত হবেন না। তবে হ্যাঁ আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আপনার দোকানটি যদি কোন বাজারে হয় বা বাজারের একটি পপুলার জায়গায় হয় যেখানে দুই তিনটি রাস্তার সংযোগ রয়েছে তাহলে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন আপনি। কেননা এতে করে আপনার লেনদেনের পরিমাণটা অনেক বেশি হবে আর লেনদেনের পরিমাণ বেশি হলে আপনার আয়ও বাড়বে। তাই উপযুক্ত স্থানে একটি নিজস্ব দোকান বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকাটা একদম মাস্ট।
ট্রেড লাইসেন্স
আপনার চেয়ে দোকান সেই দোকানের বা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি লাগবে। যেটা আপনাকে নিজস্ব কাউন্সিল থেকে বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তৈরি করে নিতে হবে।
টিন সার্টিফিকেট
টিম সার্টিফিকেট হচ্ছে বাংলাদেশের একজন নিবন্ধিত করদাতা তার প্রমাণ। মানে আপনি যে বাংলাদেশের একজন স্থায়ী নাগরিক এবং নিবন্ধিত করদাতা সেটার প্রমাণ পত্র থাকতে হবে। আর এটা আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন এনবিআর কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি চাইলে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে তিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
আর বাকি যে জিনিস গুলো সেটা তো আপনার কাছে ফর হামেশা থাকবে অর্থাৎ আপনার জন্মনিবন্ধন পত্র, নিজস্ব ছবি এবং একটি ভ্যালিড মোবাইল নাম্বার বা সিম।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার খরচ কত?
বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার ধারাবাহিক পদ্ধতি জানার পূর্বে এটা জানা প্রয়োজন আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কাছে কত টাকা থাকতে হবে। মানে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে আপনার। তাদেরকে বলব এক টাকাও নয়। আপনি যদি এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তাহলে এর বিনিময়ে কোনো প্রকার চার্জ বা ফ্রি চাইবে না বিকাশ কর্তৃপক্ষ।
তবে তাদের একটা রুলস রয়েছে। আপনার এজেন্ট একাউন্ট এর শুরুতে ১ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রিচার্জ করতে হবে। এটা মূলত শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে আর যদি আপনার দোকানটি গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা রিচার্জ করলে ই এনাফ। তবে এই টাকাটা যে আপনার তাদেরকে দিতে হচ্ছে এটা নয়। এটা আপনার থাকছে এবং এই টাকা আপনি কিছুদিনের মধ্যে নগদ করে ফেলতে পারছেন।
বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার উপায়
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য তিনটি উপায়ে রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি চান তাহলে তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে
- বিকাশ বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে
- এলাকার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস এর মাধ্যমে
- অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে
বিকাশ প্রতিনিধির মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি বিকাশ প্রতিনিধির মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখ করা প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যোগান দিতে হবে সর্বপ্রথম। এরপর সেগুলো সংগ্রহ করা হয়ে গেলে আপনি বিকাশ বিক্রয় প্রতিনিধির কাছে গিয়ে সুপারিশ প্রদান করবেন। ব্যাস এটুকুই।
বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি চান বিকাশ প্রতিনিধিদের কাছে না গিয়ে সরাসরি বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করে তাদের কাছে সুপারিশ অর্থাৎ বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে পারেন। তারা যদি আপনাকে উপযুক্ত মনে করেন তাহলে খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে দেওয়া হবে।
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি যদি এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে অনেক বেশি ভালো হবে। কেননা এর জন্য আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না কোন প্রকার বাড়তি সময় ব্যয় করতে হবে না। এজন্য শুধুমাত্র লাগবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটা স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ, ব্যাস।
তাহলে আসুন এ পর্যায়ে জেনে নেই আপনি মূলত কোন কোন ধাপ পেরিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন!
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে পর্যায়ক্রমে এই কয়েকটি ধাপ পেরুতে হবে।
প্রথমত: বিকাশ এজেন্ট app, google প্লে স্টোরে গিয়ে ইন্সটল করতে হবে।
দ্বিতীয়ত: বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার অনুরোধ এবং এজেন্ট ক্লাবে ক্লিক করতে হবে
তৃতীয়ত: জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে নিজস্ব নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে
চতুর্থত: এজেন্ট একাউন্টধারী ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার ও ফোন নাম্বার লিখতে হবে।
পঞ্চমত: ট্রেড লাইসেন্স অনুসারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে
ষষ্ঠমত: প্রতিষ্ঠানের সচল ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে
সপ্তমত: সকল ইনফরমেশন প্রদান করার পর যাচাই বাছাই করে সাবমিট বা জমা দিন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ব্যাস আপনার কাজ এটুকুই। সকল ইনফরমেশন যদি সঠিকভাবে পূরণ করেন এবং বিকাশ ও কর্তৃপক্ষের কাছে যদি এটা সুস্পষ্ট হয় যে এজেন্ট অ্যাকাউন্টের জন্য আপনি উপযুক্ত। তাহলে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে সেটা পৌঁছানো হবে পরবর্তীতে আপনাকে উপযুক্ত মনে হলে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে।
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা ও এজেন্ট কমিশন
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই অ্যাপ এর মাধ্যমে ছোটখাটো দারুন একটা ব্যবসা করা সম্ভব। যেটা লাভের আশাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী টাকা ক্যাশ ইন বাশ আউট করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পান। যা হিসাব অনুযায়ী হাজার টাকায় ৪.৫০ টাকা।
শেষ কথা: বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, খোলার নিয়ম এবং কমিশন ও সুবিধার সম্পর্কে ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি সহজে ঘরে বসে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
আবার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিস অথবা বিকাশ প্রতিনিধির মাধ্যমেও খুলে ফেলতে পারবেন এজেন্ট অ্যাকাউন্ট। এর জন্য কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না আপনাকে। তবুও যদি আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান। নিয়মিত আমাদের পোস্টগুলো পেতে সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করে রাখুন। আল্লাহ হাফেজ।