বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি | জেনে নিন বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার সহজ  নিয়ম ও তার সুযোগ সুবিধা: আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে ওয়েলকাম জানাচ্ছি আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে। ভিউয়ার্স, আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। সেই সাথে জানাবো বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট এর জন্য সুবিধা হিসেবে আপনি কি কি পেতে পারবেন বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা থেকে।

তাই আপনারা যারা বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট সম্পর্কে জানতে চান এবং কিভাবে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খুলতে হয়, এর সুযোগ সুবিধা গুলো কি কি, কোন কোন পদ্ধতিতে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করা যায়? তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেল। তাহলে আসুন শুরু করি। 

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট কি?

আমরা জানি, বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা। এখানে আমরা গ্রাহক হিসেবে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারি। আর যে কোন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা পসিবল হয়ে ওঠে বিকাশ একাউন্ট এর মাধ্যমে। কোন গ্রাহক তখনই বিকাশের কোন সুবিধা বা সেবা ভোগ করতে পারবে যখন তার একটা নিজস্ব একাউন্ট থাকবে। আর সেটাই হচ্ছে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট অর্থাৎ কেউ যখন জনপ্রিয় বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজস্ব একাউন্ট খুলে থাকে সেটাই হচ্ছে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট। 

বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট কিভাবে খুলবেন?

দেখুন বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট বলতে কি বোঝায় তা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এখন অনেকের প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে? অর্থাৎ আপনি কোন কোন মাধ্যম অনুসরণ করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলবো আপনি যদি বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে দুইটি রাস্তা রয়েছে আপনার কাছে। সেগুলো হচ্ছে:

  • বিকাশ অ্যাপ
  • বিকাশ সেন্টার

বিকাশ অ্যাপ

আপনি যদি কারো কোনরকম সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতিটা। কেননা এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার কাছে থাকতে হবে একটা ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ ও কিছু কাগজপত্র। 

বিকাশ সেন্টার

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে যদি আপনি একাউন্ট না খুলেন তাহলে বিকল্প রাস্তা হিসেবে রয়েছে বিকাশ সেন্টারে গিয়ে নিজের বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলে নেওয়া। এ ক্ষেত্রেও আপনার তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না, তবে প্রয়োজন পড়বে সামান্য টাকার সেই সাথে ব্যয় করতে হবে প্রচুর সময়। কেননা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে যদি আপনি বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট হলেন তাহলে ঘরে বসে কাজটি করতে পারবেন। এজন্য আপনার নিকটস্থ কোন দোকান বা বিকাশ সেন্টারে যেতে হবে না।

সেই সাথে খরচ করতে হবে না টাকা। কেননা আপনি এটা খুব ভালোভাবে জানেন কেউ যদি আপনাকে কোন কাজ করে দেয় তাহলে প্রফিট হিসেবে তাকে কিছু না কিছু পারিশ্রমিক দিতেই হবে। সেই সাথে যাতায়াতের যে খরচ রয়েছে সেটা খরচ করতেই হবে। তবে হ্যাঁ এই মাধ্যমটা মূলত তাদের জন্য যারা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ফোন ব্যবহার করেন না তাদের জন্য।

তবে হ্যাঁ তবুও বলবো আপনি যদি ঘরে বসে কারোর কোনরকম সাহায্য ছাড়া বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে বিকাশ সেন্টারে যাওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আমাদের দেওয়া ইনস্ট্রাকশন ফলো করুন এবং স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করুন, ব্যাস। 

বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

এ পর্যন্ত আমরা জেনেছি বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সম্পর্কে। তবে এখন কথা হচ্ছে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে গেলে আপনার কাছে কি কি ডকুমেন্ট থাকতে হবে? 

  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • ভেলিড মোবাইল নম্বর
  • এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 

একজন মোবাইল ব্যবহারকারী খুব সহজে দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন। এজন্য কোন কাগজপত্র আপনার হাতে থাকলেও চলবে না থাকলেও চলবে। তবে কিছু ইনফরমেশন পূরণের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র টা অবশ্যই জরুরী। কেননা এটা আপনি লিখে সাবমিট করলে হবে না জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা স্মার্ট কার্ডের ফটো তুলে আপলোড করতে হবে আপনাকে। এরপর পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আপনি একজন গ্রাহক হিসেবে বিকাশের নিকট একটি নিবন্ধন ফরম পূরণ করে পাঠাতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি কোন বিকাশ সেন্টারে গিয়ে খুলতে চান সেক্ষেত্রে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর মূল ফটোকপি অবশ্যই আনতে হবে। কেননা এটা আপনাকে বিকাশ এজেন্টরা করে দেবে তাই তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র জমা করতে হবে। 

মোবাইলে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলার পদ্ধতি

প্রথমত: আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে।

দ্বিতীয়ত: ইনস্টল কার্যপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে সাইন ইন করতে হবে। 

তৃতীয়ত: সাইন ইন/লগ ইন বা রেজিস্ট্রেশন এর জন্য ট্র্যাক করার পর আপনার ভ্যালিড নাম্বারটি বসিয়ে দিতে হবে।

চতুর্থত: পরবর্তীতে আপনার valed নম্বরে ৬ ডিজিট এর একটি ওটিপি আসবে। তা সঠিকভাবে বসিয়ে সাবমিট করতে হবে আর এগিয়ে যেতে হবে পরবর্তী ধাপে।

পঞ্চমত: আপনার পরিচয় পত্র অর্থাৎ স্মার্ট কার্ডের সামনের ও পেছনের ছবি তুলে পরবর্তীতে এগিয়ে যেতে হবে

ষষ্ঠমত: যাচাই-বাছাই করে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে সংশোধন করে সাবমিট করতে হবে।

সপ্তমত: এবার আপনার নিজের ছবি অর্থাৎ সেলফি তুলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ব্যাস তাহলেই হয়ে যাবে আপনার বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলা। কেননা আপনি যাচাই-বাছাই শেষে নিজের সেলফি তুলে সাবমিট করার পরবর্তীতে আপনার কাছে একটি এসএমএস আসবে। এরপর আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ এ লগইন করতে পারবেন।

এক কথায়, বিকাশ এপ্লিকেশন অর্থাৎ মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করার পরবর্তীতে সেটাতে সাইন ইন করে যে যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা লেখা উঠবে সেগুলো পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তাহলে ক্রিয়েট হয়ে যাবে আপনার নিজস্ব অর্থাৎ পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট।

বিকাশ সেন্টারে গিয়ে পার্সোনাল একাউন্ট খোলার পদ্ধতি

প্রথমত: বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জোগাড় করে আপনার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট এর কাছে পৌঁছাতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ বিকাশ এজেন্ট কে আপনার মোবাইল নাম্বার ও অপারেটর নিশ্চিত করে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অনুমতি প্রদান করতে হবে.

তৃতীয়তঃ এরপর আপনার নাম্বারে যে ওটিপি অর্থাৎ রেফারেন্স নাম্বার পাঠানো হবে সেটা বিকাশ এজেন্ট দের জানাতে হবে আপনার।

এক কথায় তাদের নির্দেশনাগুলো মেনে আপনাকে কিছু সহযোগিতা করতে হবে তাদেরকে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারতেন ঠিক একইভাবে বিকাশ এজেন্ট এ গিয়েও তারা আপনার পার্সোনাল একাউন্টে ক্রিয়েট করে দেবে।

তবে হ্যাঁ অবশ্যই সতর্ক থাকবেন তিন নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখার। কেননা আপনার পিন নাম্বার গোপনে রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার আর এটা আপনার একদমই নিজস্ব। এটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন যে কেউ যদি আপনার সেই পাঁচ ডিজিটের বিকাশ পিন নাম্বারটি জেনে ফেলতে পারে আপনার পার্সোনাল একাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা কেউ অতি সহজে চুরি করে নিতে পারবে। অতএব সাবধান।

বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের সুবিধা

বিকাশ বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা। এখানে মূলত আপনি সেবা হিসেবে উপভোগ করতে পারবেন,

  • মোবাইল রিচার্জ এর সুযোগ
  • ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট এর সুবিধা
  • পেমেন্ট বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো পাঠক বন্ধুরা, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি খুব সহজে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে ফেলতে পারবে। আজকের আলোচনায় এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here